মোঃ মাসুদ হাসানঃ
সকাল থেকে সুরু হয় শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়ন এর ৯ নং ওয়ার্ডে স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ। এর এক পর্যায়ে বেলা ১১ টার সময় ৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বর এর ছোটো ভাই মোঃ মুনসুর আলী ব্যাস্ততার কারণে লাইনে না দাড়িয়ে স্থানীয় লোকজনকে অনুরোধ করে স্মার্ট কার্ড নেওয়ার জন্য সামনে এগিয়ে যায়, এ সময় লাইনে দাড়িয়ে থাকা আওয়ামীলীগের বর্তমান সেক্রেটারী বর্তমান ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বর মোঃ আজগর আলী বুলুর সমর্থকরা বাধা দিলে শুরু হয় হাতাহাতি, এর এক পর্যায়ে প্রাক্তন মেম্বর জামায়াত নেতা মোঃ সোহরাব হোসেন এর ভাই মোঃ মুনসুর আলী খোভে প্রভাবিত হয়ে লাইনে না দাড়িয়ে স্থানীয় জামায়াতের নেতা মৃত বদিউজ্জামালের পুত্র হুজুর সাইদুজ্জামানের অফিসে যায়। সাইদুজ্জামান ও তার দলের লোকজন সহ ঘটনা স্থলে হাজির হলে শুরু হয় তিন পক্ষের বাগ বিতন্ডা এর এক পর্যায়ে ৮ নং টেংরাখালী ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বর মোঃ আব্দুল হামিদ লাল্টু, ও ৯ নং ওয়ার্ডের বিশিষ্ট ব্যাক্তি মোঃ জামীর আলী যামু বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করেন, কিন্তুু তরুন অনভিজ্ঞ জামায়াতের নেতা সাইদুজ্জামানের লোকজন ও বি এন পি নেতা মোঃ সফিকুল এর লোকজন এর সাথে আওয়ামীলীগের দোসরদের সংঘর্ষ শুরু হয়। তখন পাশ থেকে কলোনি পাড়ার আজিতের পুত্র মিকাইল সজোরে লাল্টু মেম্বারের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে। সংগে সংগে জামাত নেতা সাইদুজ্জামান তার লোকজন নিয়ে মাঠে নেমে পড়ে। ওদিকে আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সেক্রেটারি আলী আজগর বুলু মেম্বারের ভাইয়েরা সহ কিছু আওয়ামীলীগের উগ্র দলীয় লোকজন বিএনপির কর্মী নুর আহাদের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে। ভয়ানক আওয়ামীলীগ বাহিনির সাথে যোগ হয় লাল্টু বাহিনী। এ সময় নির্বোধ জামায়াত নেতা সাইদুজ্জামানের লোকজন মার খেয়ে লেজ গুটিয়ে পলায়ন করে। এ ঘটনায় সবমিলিয়ে ৪ জন গুরুতর আহত হয়ে শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়। এ বিষয়ে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মোঃ তাইজুল ইসলামের কাছে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে জানা যায় এখনো পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি। তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে।